সম্প্রসারিত রূপনগর আবাসিক প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের ১লা জানুয়ারী বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়ে হাটি হাটি পা পা করে সফলতার সাথে ১৫টি বছর পার হয়ে বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্লে শ্রেণী হইতে ১০ম শ্রেণী পর্যমত্ম পাঠ দান করানো হচ্ছে। প্রায় ১৫০০ ছাত্র-ছাত্রী এবং ৪৭ জন উচ্চ শিক্ষিত ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষক ও ৮ জন কর্মচারী বর্তমানে কর্মরত আছেন। বিদ্যালয়টি গত ৩১/০৫/২০১০ ইং তারিখে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যমত্ম এমপিও ভূক্ত হয়েছে । বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে এবং জেলা পরিষদের কিছু অনুদানে ৬ তলা ফাউন্ডেশনের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট তিন তলা ভবনের নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বাহিরে প্লাষ্টারের কাজ এখনও বাকী আছে। জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৪র্থ তলার কাজ নির্মানাধীন আছে। সরকারী বড় ধরনের কোন অনুদান এখন পর্যমত্ম না পাওয়ায় বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন তেমন হয় নাই। প্লাষ্টার বিহীন তিন তলা ভবন ও প্রতিষ্টকালের তৈরী আধাপাকা টিনশেড ভবনের ১০টি কক্ষ নিয়ে শ্রেণী কার্যক্রম ও অফিস পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যালযটির অবস্থান দরিদ্র এলাকায় হওয়ায় বিদ্যালয়ের অর্থায়নে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানে কষ্ট হচ্ছে। ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ এমপিও ভূক্তির আশায় আছে।
ঢাকা মহানগরের পল্লবী থানাধীন ৩ নং ওয়ার্ডের অমত্মর্গত ১০ নং সেকশনের ডি ব্লকের সম্প্রসারিত রূপনগর আবাসিক এলাকায় বিদ্যালয়ের জন্য সংরক্ষিত স্থানে এক বিঘা জমির উপর বিদ্যালযটি অবস্থিত । সম্প্রসারিত রূপনগর আবাসিক প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি জনাব মোঃ আলমগীর মিঞা, সমিতির সদস্যবৃন্দ ও ৩ নং ওয়ার্ডের তৎকালীন কমিশনার মরহুম এম আলী হায়দারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১লা জানুয়ারী, ১৯৯৭ ইং সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সংসদ সদস্য জনাব কামাল আহমেদ মজুমদার এবং বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী জনাব আ,খ, ম জাহাঙ্গীর হোসাইন আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদ্যালয়টি উদ্বোধন করেন। প্লট মালিকদের ১৬ জন এবং তৎকলীন সংসদ সদস্য জনাব কামাল আহমেদ মজুমদার ও তৎকালীন ৩ নং ওয়ার্ড কমিশনার মরহুম এম আলী হায়দার সহ মোট ১৮ জন প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রসারিত রূপনগর আবাসিক এলাকায় ২৩০টি প্লট আছে, উহার অধিকাংশ মালিকই বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠালগ্নে ১০,০০০ টাকা অনুদান দিয়েছেন এবং এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট সাহায্য ও সহযোগিতা দিয়েছেন। বর্তমান বিধি অনুযায়ী প্রায় ১৭ জন আজীবন দাতা সদস্য আছেন। এলাকাবাসীর ইচ্ছা বিদ্যালয়টি ঢাকা মহানগরীর মধ্যে একটি আদর্শ ও উন্নত মানের বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠুক।
মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ঃ ১৫১৭ জন
শ্রেণী ভিত্তিক ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যাঃ
১ম | ২য় | ৩য় | ৪র্থ | ৫ম | ৬ষ্ঠ | ৭ম | ৮ম | ৯ম | ১০ম | ১১ম | ১২ম |
১৭০ | ৮১ | ৯৫ | ৯৫ | ১১৫ | ১২৫ | ১২০ | ৩৪০ | ২৩৪ | ১৪২ |
|
|
বর্তমান পরিচালনা কমিটির তথ্য
বিদ্যালয়টিতে বিধি মোতাবেক নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠিত হয়।
গত ৭/০৯/২০১০ ইং তারিখে নির্বাচনের মাধ্যমে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি ম্যানেজিং কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটির মেয়াদ আগামী ২০/০৯/২০১২ ইং তারিখে শেষ হবে।
কমিটির সদস্যদের তালিকাঃ
ক্রঃ নং | নাম | পদবী |
০১ | শিরীন হায়দার | সভাপতি |
০২ | মোঃ আলমগীর মিঞা | প্রতিষ্ঠাতা সদস্য |
০৩ | মোঃ রবিউল আলম | প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক |
০৪ | জি এম এ হাশেম | বিদ্যুৎসাহী সদস্য |
০৫ | মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম | শিক্ষক প্রতিনিধি |
০৬ | মোঃ শাহাদত হোসেন | শিক্ষক প্রতিনিধি |
০৭ | আরেফা আক্তার | শিক্ষক প্রতিনিধি |
০৮ | মোঃ ফরিদ উদ্দিন | দাতা সদস্য |
০৯ | মোঃ রফিকুল ইসলাম | অভিভাবক সদস্য |
১০ | মোঃ আরিফুর রহমান | অভিভাবক সদস্য |
১১ | মোঃ নুরুল ইসলাম | অভিভাবক সদস্য |
১২ | মোঃ খোকন রানা | অভিভাবক সদস্য |
১৩ | বিলকিস পারভীন | সংরক্ষিত মহিলা সদস্য |
শিক্ষা বৃত্তির তথ্য-২০১১
প্রাথমিক বৃত্তি | জুনিয়ার বৃত্তি | মাধ্যমিক বৃত্তি |
A+ = ০১ জন A = ৩০ জন A- = ১৫ জন | A+ = ০১ জন A = ২৭ জন A- = ৩৯ জন | A+ = ০১ জন A = ২২ জন A- = ২৮ জন |
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল হইতে এলাকাবাসী বিদ্যালয়টিকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। তাদের ছেলেমেয়েদেরকে নিয়মিত পাঠ দান এবং লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। পি.এস.সি, জে.এস.সি এবং এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল দিন দিন উন্নতির দিকে এবং অভিভাবকগণ সকল ফলাফলে খুশি। এলাকাবাসী ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যে, বিদ্যালয়টি একটি উন্নতমানের বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হউব।
বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি ৬তলা ফাউন্ডেশন। ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলার নির্মান কাজ কিছু দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার ইচ্ছা আছে। মূল ভবনের পশ্চিম পার্শ্বে ৫ তলা ভবন নির্মানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগে আবেদন করা হয়েছে এবং জোর তদবির চলছে। ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের ভবন নির্মান কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর টিনশেড ভবনগুলি ভেঙে বিদ্যালয়ের মাঠ বড় করা হবে। পর্যায়ক্রমে পাঠাগার, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব এর উন্নয়ণ করা হবে। ইতিমধ্যে কমিটি সিদ্ধামত্ম নিয়েছে ২০১২-১৩ সেশনে একাদশ শ্রেণী চালু ও পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যমত্ম চালূ করার। সর্বোপরি উন্নত মানের একটি কলেজিয়েট স্কুল হিসাবে প্রতিষ্টিত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ বিহীন শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা সহ শিক্ষকদের ইন সার্ভিস ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর ব্যবস্থা চালু আছে।
ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টিকে একটি আদর্শ, ডিজিটাল ও সেরা দশের মধ্যে একটি বিদ্যাপীট হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস