অত্র বিদ্যালয়টি ঢাকা মহানগরীর সবুজবাগ থানায় অবস্থিত। ইহা বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ কর্তৃক প্রবিধামালার এস আর ও নং ৯৯/আইন/২০০৯ এর ৪৯(১) ধারায় পরিচালিত বিদ্যালয়। ৪.৫ একর বিশিষ্ট ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অভ্যমত্মরে এক নান্দনিক পরিবেশে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। এ বিদ্যালয়ে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়ে শিশু শ্রেণী থেকে এস. এস. সি পর্যমত্ম লেখা পড়া করে। বিদ্যালয়ে প্রায় ৭০০ (সাতশত) ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ (ছাত্র) বিভিন্ন প্রত্যমত্ম অঞ্চলের। তারা অত্র প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হোস্টেলে থেকে বিনা খরচে লেখা পড়া করে থাকে। তাদের থাকা, খাওয়া ও লেখা-পড়ার গুরম্নদায়িত্ব বহন করেন বর্তমান সংস্থা প্রধান মাননীয় শুদ্ধানন্দ মহাথের। তাই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এদেশের গরীব অসহায়, এতিম ও দুঃস্থ ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষিত করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে এ বিদ্যালয় অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। পাবলিক পরীক্ষা সমূহে অত্র বিদ্যালয়ের ফলাফল অত্যমত্ম সমেত্মাষজনক।
ঢাকা মহানগরীর ধামরাই নামক স্থানে সম্রাট অশোক একটি চৈত্য নির্মান করেছিলেন যার নাম ছিল ধর্মরাজিকা। বিভিন্ন ইতিহাসবিদ মনে করেন সেই ধর্মরাজিকা থেকে ঢাকায় উলেস্নখিত স্থানটির নাম হয় ধামরাই। উক্ত ধর্মরাজিকার নাম অনুসারে অত্র প্রতিষ্ঠানের নাম রাখা হয় ধর্মরাজিক অনাথালয় আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করা হয় ধর্মরাজিক উচ্চ বিদ্যালয়।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে পিতৃ-মাতৃহীন অসহায়, এতিম ও দুঃস্থ ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষিত করার এক মহান ব্রত নিয়ে মহাসংঘনায়ক মাননীয় বিশুদ্ধান্দ মহাথের ও মাননীয় শুদ্ধানন্দ মহাথের এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গৌরবময় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহু ছাত্র বর্তমানে জাতীয় ও আমত্মর্জাতিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। যেহেতু এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আমত্মর্জাতিকভাবে পরিচিত ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অভ্যমত্মরে অবস্থিত তাই বাংলাদেশের প্রায় সকল মান্যবর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, মন্ত্রী পরিষদ ও জাতীয় সংসদের মাননীয় সদস্যবৃন্দের এ প্রতিষ্ঠানে শুভাগমনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, সরকারী বেসরকারী ঊদ্ধর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ এ প্রতিষ্ঠানে শুভাগমন করেছেন। দেশী বিদেশী ধর্মগুরম্ন বুদ্ধিজীবী সুধীজন বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সমাবেশ, সম্মেলন, সেমিনারে যোগদানের নিমিত্তে প্রতিনিয়ত এ প্রতিষ্ঠানে এসে থাকেন। তাই এই প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অত্যমত্ম গৌরবের।
১ম | ২য় | ৩য় | ৪র্থ | ৫ম | ৬ষ্ঠ | ৭ম | ৮ম | ৯ম | ১০ম |
৩৫ | ৪৮ | ৫৫ | ৫৯ | ৮৬ | ১০৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৯৭ | ৮৯ |
মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাঃ ৭৫০ (ছাত্র ৪৭৫ ও ছাত্রী ২২৫) জন।
কমিটির ধরণ ঃ বিশেষ প্রবিধানমালা এস. আর ও নং ৯৯/আইন/২০০৯ এর ৪৯(১) ধারায় ৭ জন সদস্যবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত।
কমিটির মেয়াদঃ ১৬/১১/২০১১ থেকে ১৫/১১/২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সম্মানিত সদস্যমন্ডলীর নাম
(ক) শুদ্ধানন্দ মহাথের সভাপতি সংস্থা প্রধান
(খ) অনুপম বড়ুয়া (প্রধান শিক্ষক) সদস্য সচিব পদাধিকার বলে।
(গ) মিসেস সীমা বড়ুয়া শিক্ষক প্রতিনিধি শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্তৃক মনোনীত
(ঘ) মিঃ কাঞ্চন কুমার বড়ুয়া শিক্ষক প্রতিনিধি শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্তৃক মনোনীত
(ঙ) মিঃ রণজিৎ কুমার বড়ুয়া অভিভাবক সদস্য সংস্থা প্রধান কর্তৃক মনোনীত।
(চ) মিঃ প্রমথ বড়ুয়া অভিভাবক সদস্য সংস্থা প্রধান কর্তৃক মনোনীত।
(ছ) মিসেস মমতা বড়ুয়া মহিলা অভিভাবক সদস্য সংস্থা প্রধান কর্তৃক মনোনীত।
প্রাথমিক বৃত্তি | জুনিয়র বৃত্তি | মাধ্যমিক বৃত্তি |
নাই | নাই | নাই |
(ক) বৃক্ষরোপনে সরকারী পুরস্কার লাভ।
(খ) টেলিভিশন বির্তক প্রতিযোগীতায় পুরস্কার লাভ।
(গ) ক্রমান্বয়ে পাশের হার বৃদ্ধি।
(ঘ) ভারত ও কোরিয়া থেকে দুইজন শিক্ষকের প্রশিক্ষণ গ্রহণ।
আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে যুগপোযোগী শিক্ষা কার্যক্রম বাসত্মবায়নের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীরতে একটি আদর্শ বিদ্যালয়ে রূপাণ্তর করার লক্ষে নিমেণাক্ত পরিকল্পনা রয়েছে।
(ক) কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের মাধ্যমে শতভাগ পাশ নিশ্চিত করা।
(খ) অবকাঠামোগত উন্নতি সাধন।
(গ) শিক্ষক-শিক্ষিকার উন্নতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা
(ঘ) ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি।
(ঙ) সুষ্ঠু ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি
(চ) শিক্ষা বৃত্তি চালু।
(ছ) আর্থিক তহবিল বৃদ্ধি।
(জ) পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন।
প্রধান শিক্ষক, ধর্মরাজিক উচ্চ বিদ্যালয়, ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার, অতীশ দীপংকর সড়ক, বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪। টেলিফোনঃ ৭২৭৪২৫৬ মোবাইলঃ ০১৬৭৩৯৯০৮৪০
E-mail address : dhs197@ymail.com
Website : www.dharmarajika high school.bd
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস