পরিচিতি
দেশের সার্বিক উন্নয়ণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো সৃষ্টির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন, গ্রামীণ শিল্পায়ন, বেকার সমস্যার সমাধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে “লাভ নয়, লোকসান নয়” এবং “গ্রাহকগণই প্রকৃত মালিক” ধারণার ভিত্তিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হিসেবে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। দেশীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং প্রাপ্ত বৈদেশিক সহায়তাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৭ সালের ৩১ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড গঠিত হয় এবং পর্যায়ক্রমে দেশের সর্বত্র বিদ্যুতায়নের উদ্দেশ্যে কার্যক্রম শুরু করে। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রাথমিকভাবে সারা দেশে ১৩টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠন করা হয় এবং তন্মধ্যে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ প্রথম সমিতি হিসেবে ১৯৭৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত হয় ও ১৯৮০ সালের ২ জুন বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে। এতদ অঞ্চলের কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্র প্রসারে ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়ণ ও গণ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে চলছে। সমিতিকে আর্থিকভাবে স্বণির্ভর করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করা, সংযোগপ্রাপ্ত সকল সম্মানিত গ্রাহকগণের নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা, ট্রান্সফরমার চুরি রোধে সহায়তা করা এবং সমিতির দৈনন্দিন কাজে সহযোগীতা করাসহ সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে বিদ্যুতের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সমিতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকা রাখা জরুরী।
এক অবস্থানে সেবা
পবিস এর অবস্থানে সেবা (ওয়ান পয়েন্ট সার্ভিস) এ নতৃন বিদ্যুৎ সংযোগ/বিল/মিটার সংক্রান্ত অভিযোগ,বিল পরিশোধের ব্যবস্থা সহ সকল ধরনের অভিযোগ জানানো যাবে এবং এতদ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।
নতুন সংযোগ গ্রহণ
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন সংযোগ আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া ''এক অবস্থানে সেবা কেন্দ্র'' থেকে নতুন সংযোগের আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। আবেদন পত্রটি যথাযথভাবে পূরণ করে নির্ধারিত আবেদন ফি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা প্রদান করে রশিদ গ্রহণ করতে হবে। সমিতি ১৪ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত সম্পন্ন করে পবিস নির্দেশিকা অনুযায়ী সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হলে পত্রের মাধ্যমে ডিমান্ড নোট প্রেরণ করা হবে। ডিমান্ড নোটে উল্লেখিত অর্থ জমা প্রদান করে ওয়্যারিং সম্পন্ন পূর্বক অবহিত করলে সমিতি কর্তৃক ওয়্যারিং পরিদর্শন পূর্বক সংযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। যদি সংযোগ প্রদান সম্ভবপর না হয় তবে তার কারণ জানিয়ে আবেদনকারীকে পত্র দ্বারা অবহিত করা হবে। পরবর্তী মাসে বিলিং সাইকেল অনুযায়ী গ্রাহকের প্রথম মাসের বিদ্যুৎ বিল প্রেরণ করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ
ঢাকা পবিস-১ এর সদর দপ্তর এবং জোনাল অফিস এর আওতাভূক্ত সকল অভিযোগ কেন্দ্রে আপনার বিদ্যুৎ বিভ্রাট এর অভিযোগ জানানো হলে আপনাকে অভিযোগ নম্বর এবং নিষ্পত্তির সময় জানিয়ে দেয়া হবে। অভিযোগ নম্বর এর ক্রমানুসারে আপনার বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূরীভূত করার লক্ষ্যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে যদি নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূরীভূত করা সম্ভব না হয় তবে তার কারণ গ্রাহককে অবহিত করা হবে।
সিটিজেন চার্টার
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ''এক অবস্থানে সেবা'' কেন্দ্রে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ/বিদ্যুৎ বিভ্রাট/বিল/মিটার সংক্রান্ত অভিযোগ, বিল পরিশোধের ব্যবস্থার সকল ধরণের অভিযোগ জানানো যাবে এবং এতদ্সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।
নতুন সংযোগ গ্রহণ
''এক অবস্থানে সেবা কেন্দ্র'' থেকে নতুন সংযোগের আবেদনপত্র পাওয়া যাবে।
আবেদন পত্রটি যথাযথভাবে পূরণ করে নির্ধারিত আবেদন ফি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা প্রদান করে রশিদ গ্রহণ করতে হবে। সমিতি ১৪ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত সম্পন্ন করে পবিস নির্দেশিকা অনুযায়ী সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হলে পত্রের মাধ্যমে ডিমান্ড নোট প্রেরণ করা হবে। ডিমান্ড নোটে উল্লেখিত অর্থ জমা প্রদান করে ওয়্যারিং সম্পন্ন পূর্বক অবহিত করলে সমিতি কর্তৃক ওয়্যারিং পরিদর্শন পূর্বক সংযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। যদি সংযোগ প্রদান সম্ভবপর না হয় তবে তার কারণ জানিয়ে আবেদনকারীকে পত্র দ্বারা অবহিত করা হবে। পরবর্তী মাসে বিলিং সাইকেল অনুযায়ী গ্রাহকের প্রথম মাসের বিদ্যুৎ বিল প্রেরণ করা হবে।
বিল সংক্রান্ত অভিযোগ
বিল সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ যেমন: চলতি মাসের বিল পাওয়া যায়নি, বকেয়া বিল, অতিরিক্ত বিল ইত্যাদির জন্য ''এক অবস্থানে সেবা কেন্দ্রে" যোগাযোগ করলে তাৎক্ষনিক সমাধান সম্ভব হলে তা নিষ্পত্তি করা হবে। অন্যথায়, একটি নিবন্ধন নম্বর দিয়ে পরবর্তী যোগাযোগের সময় জানিয়ে দেয়া হবে এবং পরবর্তী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিল পরিশোধ
সমিতির সদর দপ্তর/জোনাল অফিস সমূহের দপ্তর/নির্ধারিত ব্যাংক সমূহে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ
ঢাকা পবিস-১ এর সদর দপ্তর এবং জোনাল অফিস এর আওতাভূক্ত সকল অভিযোগ কেন্দ্রে আপনার বিদ্যুৎ বিভ্রাট এর অভিযোগ জানানো হলে আপনাকে অভিযোগ নম্বর এবং নিষ্পত্তির সময় জানিয়ে দেয়া হবে। অভিযোগ নম্বর এর ক্রমানুসারে আপনার বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূরীভূত করার লক্ষ্যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে যদি নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূরীভূত করা সম্ভব না হয় তবে তার কারণ গ্রাহককে অবহিত করা হবে।
নতুন সংযোগের জন্য দলিলাদি
নতুন সংযোগের জন্য আবেদনপত্রের সাথে নিম্নোক্ত দলিলাদি দাখিল করতে হবে
সংযোগ গ্রহণকারীর পাসপোর্ট সাইজ এর ২ কপি সত্যায়িত ছবি।
জমির মালিকানা দলিলের সত্যায়িত কপি।
লোড চাহিদার পরিমাণ।
জমি / ভবনের ভাড়ার (যদি প্রযোজ্য হয়) দলিল।
ভাড়ার ক্ষেত্রে মালিকের সম্মতিপত্রের দলিল।
পূর্বের কোন সংযোগ থাকলে ঐ সংযোগের বিবরণ ও সর্বশেষ পরিশেধিত বিলের কপি।
অস্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রে বিবরণ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
ট্রেড লাইসেন্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
সংযোগ স্থলের নির্দেশক নকসা।
শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের নিমিত্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন।
পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভেমন্ট প্লান্ট স্থাপন (শিল্পের ক্ষেত্রে)।
সার্ভিস লাইনের দৈর্ঘ্য ১০৫ ফুটের বেশী হবে না।
বহুতল আবাসিক/ বাণিজ্যিক ভবন নির্মাতা ও মালিকের সাথে ফ্ল্যাট মালিকের চুক্তিনামার সত্যায়িত কপি।
সিঙ্গেল লাইন ডায়াগ্রাম।
উপকেন্দ্রে স্থাপিত সব যন্ত্রপাতির স্পেসিফিকেশন ও টেষ্ট রেজাল্ট এবং বৈদ্যুতিক উপদেষ্টা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর থেকে প্রদত্ত উপকেন্দ্র সংক্রান্ত ছাড়পত্র।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
নতুন সংযোগের জন্য আবেদন ফি
ক) বাড়ী/বাণিজ্যিক/দাতব্য প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য একক দলগত আবেদনের ক্ষেত্রেঃ
একক আবেদনের ক্ষেত্রে ১০০.০০ টাকা।
২ হইতে ৯ জন পর্যন্ত আবেদনের (জন প্রতি) ক্ষেত্রেঃ ১০০.০০ টাকা।
১০ হইতে ২০ জন পর্যন্ত গ্রুপ সম্বলিত আবেদনের ক্ষেত্রে (নির্ধারিত) ১৫০০.০০ টাকা।
২১ জন ও তদুর্ধ্বের গ্রুপ সম্বলিত আবেদনের ক্ষেত্রে (নির্ধারিত)ঃ ২০০০.০০ টাকা।
খ) সেচ সংযাগের জন্য আবেদনের সহিত ২৫০.০০ (দুইশত পঞ্চাশ) টাকা সমীক্ষা ফি জমা প্রদান করতে হবে। সংযোগের চুক্তি সম্পাদনের প্রাক্কালে আবেদনকারীর ০২ (দুই) কপি সত্যায়িত ছবি সত্যায়িত (রঙ্গীন) জমা দিতে হবে।
গ) যে কোন ধরনের অস্থায়ী সংযোগের জন্য ১৫০০.০০ (পনের শত) টাকা।
ঘ) উপরে বর্ণিত সংযোগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোন সাময়িক / স্থায়ী সংযোগের জন্য ১৫০০.০০ (পনের শত) টাকা।
ঙ) শিল্প প্রতিষ্ঠানে সংযোগের জন্যঃ
জিপিঃ ২৫০০.০০ টাকা।
এলপিঃ ৫০০০.০০ টাকা ।
চ) পোল স্থানান্তর/লাইন রুট পরিবর্তন/সমিতি কর্তৃক স্থাপিত অন্য গ্রাহকের সার্ভিস ড্রপ স্থানান্তরেরর জন্যঃ ৫০০.০০ টাকা।
নতুন সংযোগের জন্য জামানতের পরিমাণ
আবাসিক, বাণিজ্যিক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ফেরৎ যোগ্য জামানত ০.৫ কিঃ ওঃ লোড পর্যন্ত ৫০০.০০ টাকা, ০.৬ কিঃ ওঃ থেকে ১ কিঃ ওঃ পর্যন্ত ৬০০.০০ টাকা এবং ১ কিঃ ওঃ এর উপরে প্রতি কিঃ ওঃ / ভগ্নাংশের জন্য ২০০.০০ টাকা হারে জামানত জমা নিতে হবে।
সেচ (অগভীর নলকূপ সংযোগের ক্ষেত্রে জামানতের পরিবর্তে অগ্রিম বিদ্যুৎ বিল ১২৫.০০ টাকা × ৫ মাস × অশ্ব শক্তি যেমন ৫ অশ্ব শক্তি =১২৫ × ৫ × ৫ = ৩১২৫.০০ টাকা সর্বনিম্ন অগ্রিম বিদ্যুৎ বিল = ৩০০০.০০ টাকা)।
গভীর (নলকূপ) এর ক্ষেত্রে প্রতি অশ্ব শক্তি ১০০০.০০ টাকা হিসাবে অগ্রিম বিদ্যুৎ বিল নিতে হবে। যেমন ২৫ অশ্ব শক্তি ২৫ × ১০০০ = ২৫০০০.০০ টাকা।
ষ্ট্রীট লাইট এর ক্ষেত্রে ৬ মাসের মিনিমাম বিদ্যুৎ বিল অর্থাৎ ২৫০ × ৬ = ১৫০০.০০ টাকা।
জি,পি/ এলপি এর ক্ষেত্রে চুক্তি বদ্ধ লোড × ৮ ঘন্টা × ২৫ দিন × ২ মাস × রেট। অথবা, প্রতি কিঃ ওঃ ১৭২০ টাকা হিসেবে। যেমন- ৩০ কিঃ ওঃ এর জামানত ৩০ × ৮ × ২৫ × ২ × ৪.৩০ = ৫১,৬০০ টাকা।
অফেরৎ যোগ্য জামানত
শুধু মাত্র ধান আটা কলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্যঃ
ফেরতযোগ্য জামানত = ১৭২০.০০ টাকা প্রতি কিঃ ওঃ।
অফেরতযোগ্য জামানত প্রতি অশ্ব শক্তি (১ ফেজ)= ৭৫০.০০ টাকা।
অফেরতযোগ্য জামানত প্রতি অশ্ব শক্তি
(৩ ফেজ)= ১,৫০০.০০ টাকা।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান,মেলা,আনন্দ মেলা এবং রাস্তা, ব্রীজের নির্মাণ কাজের জন্য অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা যাবে। কিন্তু চলমান নির্মাণ কাজ সম্পন্ন বাড়ী, শিল্প অথবা কমপ্লেক্সে অস্থায়ী সংযোগ প্রদান করা যাবে না। এ সংযোগ শুধুই অস্থায়ী ভিত্তিতে যাহা কখনই স্থায়ী সঙযোগ পরিবর্তন করা যাবে না। এ ধরণের সংযোগের জন্য নিম্নলিখিত শর্ত ও পদ্ধিত অনুসরণ করেত হবেঃ
(ক) এ সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সকল মালামালের বুক ভ্যালুর শতকরা ১১০ ভাগ মূল্যে গ্রাহকেক প্রদান করেত হবে। অবশ্য ট্রান্সফরমার, লাইটনিং এ্যারেষ্টার, ফিউজ কাটআউট, মিটার এবঙ মিটার সকেট ব্যতিত কার্য সম্পন্নের পর উক্ত মালামাল ব্যবহার উপযুক্ত হলে ১০০% মালামালের মূল্য ফেরৎ প্রদান করা হবে।
(খ) এ সংযোগ সুবিধা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিকের মজুরী এবং বিচ্ছিন্ন ও সংযোগ ফি প্রদান করতে হবে।
(গ) সার্ভিস চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ব্যবহৃত বিদ্যুতের মূল্য জিপি রেট সিডিউল অনুযায়ী ধার্য করা হবে।
যদি অস্থায়ী সংযোগ ছয় মাসের বেশী না হয় তবে আবেদনকারী গ্রাহককে (ক),(খ),(গ) ( প্রাক্কলিত বিদ্যুৎ বিল) তে উল্লেখিত খরচ অগ্রীম প্রদান করতে হবে।
উপরোক্ত বর্ণনানুযায়ী অর্থ ছাড়াও নীতি নির্দেশিকা মোতাবেক অন্যান্য খরচ যেমনঃ- সমীক্ষা ফি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে লাইন নির্মাণ/ লাইন রুপান্তর/ পরিবর্তন ব্যয় গ্রাহককে
লোড পরিবর্তন
লোড বৃদ্ধির জন্য সমীক্ষা ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে।
লোড বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বর্ধিত লোডের জন্য শ্রেণী ভিত্তিক প্রযোজ্য জামানত প্রদান করেত হবে।
অতিরিক্ত লোডের জন্য সার্ভিস তার/ ট্রান্সফরমার বদলানোর প্রয়োজন হলে উক্ত ব্যয় প্রত্যেককে বহন করতে হবে।
প্রাক্কলণ ও জামানতের অর্থ জমা দানের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে লোড বৃদ্ধি কার্যকর করা হবে। যদি লোড বৃদ্ধি করা সম্ভবপর না হয় তবে তার কারণ জানিয়ে গ্রাহককে একটি পত্র দেয়া হবে।
গ্রাহকের নাম পরিবর্তন ফি
গ্রাহক ক্রয় সূত্রে/ ওয়ারিশসূত্রে জায়গা বা প্রতিষ্ঠানের মালিক হলে সকল দলিলের সত্যায়িত ফটোকিপ ও পরিশোধিত বিদ্যুৎ বিলের কপি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, আর্টিক্যাল অব মেমোরেন্ডামসহ নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে। সরেজমিনে তদন্ত করে নাম পরিবর্তনের জন্য নির্ধারিত হারে জামানত প্রদান করা সাপেক্ষে সাত দিনের মধ্যে নাম পরিবর্তন করা হবে।
বিদ্যুৎ আইনের (Electricity Act, 1910 & As Amendmed "The Electricity (Amendmend) Act 2006") ৩৯ ধারা অনুসারে এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ বছর হতে ৩ বছর পর্যন্ত জেল এবঙ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। তাছাড়া অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে সমিতির নীতিমালা অনুসারে সাধারণ জরিমানা ও ক্ষতিগ্রস্থ বিল প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও উক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের দ্বারা যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, মিটার, মিটারিং ইউনিট ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে ক্ষতিগ্রস্থ বৈদ্যুতিক সংস্থার মিটার,মিটারিঙ ইউনিট ইত্যাদি পুনরায় সচল করা গেলে উহার ৫০% মূল্য এবং পুনঃ স্থাপন ব্যয় অথবা সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত বা পুনরায় সচল করা যাবে না এরুপ সরঞ্জামের জন্য পুনঃস্থাপনের ব্যয়সহ প্রকৃত মূল্য আদায় করা হবে।
শ্রেণীভিত্তিক বিদ্যমান বিদ্যমান বিদ্যুতের মূল্যহার
ক্রঃ নং | গ্রাহক শ্রেণী | প্রতি ইউনিট মূল্য (টাকায়) |
০১ | শ্রেণী-বিঃ আবাসিকঃ (ক) প্রথম ধাপঃ ০০ হতে ১০০ ইউনিট (খ) দ্বিতীয় ধাপঃ ১০১ হতে ৩০০ ইউনিট (গ) তৃতীয় ধাপঃ ৩০০ ইউনিট এর ঊর্ধ্বে |
৩.০৮ ৩.৬৭ ৫.৯৮ |
০২ | শ্রেণী-আইঃ কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাম্প- | ৩.২৪ |
০৩ | শ্রেণী-জিপি / ক্ষুদ্র শিল্পঃ | ৬.০২ |
০৪ | শ্রেণী-সি/বাণিজ্যিকঃ | ৭.৭৯ |
০৫ | শ্রেণী-এলপি/ বৃহৎ শিল্প | ৫.৯০ |
০৬ | শ্রেণী-এস এল/ রাস্তার বাতি- | ৫.৬১ |
০৭ | শ্রেণী-সিআই/ দাতব্য প্রতিষ্ঠান | ৩.৮৫ |
সকল ধরনের ইনডাকটিভ লোড ব্যবহারকারী শিল্প ও সেচ সংযোগের ক্ষেত্রে পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান কমপক্ষে ৯৫% রাখা বাধ্যতামূলক। এই মান ৯৫% এর নীচে থাকলে নির্ধারিত হারে ব্যবহৃত ইউনিটের উপর জরিমানা আদায়যোগ্য। এক বছর জরিমানা আদায়ের পর পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান ৯৫% এ উন্নিত না হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান ৯৫% এ অক্ষুন্ন রাখার জন্য পাওয়ার ইমপ্রুভমেন্ট প্লান্ট / ক্যাপাসিটর ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
মিটার পরীক্ষা ফি
মিটারের কার্যকারিতা সম্পর্কে গ্রাহকের কোন অভিযোগ থাকলে সর্বশেষ বিল সহ সমুদয় বকেয়া বিল পরিশেআধ করিয়া নিম্নলিখিত হারে মিটার পরীক্ষার ফি জমা প্রদান করতে হবে।
ক্রঃ নং | গ্রাহক শ্রেণী | প্রতি ইউনিট মূল্য (টাকায়) |
০১ | বাড়ী,বাণিজ্যিক,দাতব্য প্রতিষ্ঠান,রাস্তার বাতি (ক) ১ ফেজ মিটার (খ) ৩ ফেজ মিটার | ১০০.০০ টাকা ২০০.০০ টাকা |
০২ | চেজঃ (ক) ১ ফেজ (খ) ৩ ফেজ | ২০০.০০ টাকা ৪০০.০০ টাকা |
০৩ | শিল্পঃ(ক) ১ ফেজ (খ) ৩ ফেজ (ডিমান্ড ছাড়া) (গ) ৩ ফেজ (ডিমান্ড সহ) |
|
০৪ | বৃহৎ শিল্প(ডিমান্ড সহ) | ১০০০.০০ টাকা |
মিটার টেস্টিং রিপোর্ট এর ভিত্তিতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিল সমন্বয় করা হবে। মিটার টেস্টিং রিপোর্টে মিটারের কোন ত্রুটি পাওয়া না গেলে মিটার টেস্টিং ফি বাজেয়াপ্ত করা হবে। মিটারে ত্রুটি পাওয়া গেলে মিটার টেস্টিং ফি ফেরত/বিলের সাথে সমন্বয় করা হবে।
অনুমোদন বিহীন অতিরিক্ত লোড বাড়ালে তার বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা
অনুমোদন বিহীন লোড বৃদ্ধি করা বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। অনুমোদন বিহীন লোড বৃদ্ধি করলে অতিরিক্ত প্রতি কিঃ ওঃ লোড বৃদ্ধির জন্য দ্বিগুণ হারে ডিমান্ড চার্জ প্রদান করতে হয়। এক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ফি এবং জামানত প্রদান করে লোড বৃদ্ধি হাল নাগাদ করতে হয় অন্যথায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
· সান্ধ্য পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন। আপনার সাশ্রয়কৃত বিদ্যুৎ অন্যকে আলো জ্বালাতে সহায়তা করবে।
· সংযোগ বিচ্ছিন্ন এড়াতে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করুন এবং বিলম্ব মাশুল পরিশোধের ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকুন।
· বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়কল্পে মানসম্মত এনার্জি সেভিং বাল্ব (CFL) ও গুনগত মান সম্পন্ন বৈদু্্যতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করুন।
· টিউব লাইটে Electronic Ballast ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করুন।
· বিদ্যুৎ একটি মূল্যবান জাতীয় সম্পদ। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ সম্পদের সুষ্ঠু ও পরিমিত ব্যবহারে ভূমিকা রাখুন।
· বছর শেষে পবিস হতে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের প্রত্যায়ণ পত্র প্রদান করা হয়ে থাকে।
· মিটার রক্ষণাবেক্ষনের দ্বায়িত্ব আপনার। এর সঠিক সুষ্ঠু অবস্থা ও সীলসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
· লোডশেডিং সংক্রান্ত তথ্য সমিতির অভিযোগ কেন্দ্র সমূহ হতে জানা যাবে।
· বিদ্যুৎ চুরি ও এর অবৈধ ব্যবহার থেকে নিজে বিরত থাকুন ও অন্যকে বিরত রাখুন। বিদ্যুৎ চুরি ও এর অবৈধ ব্যবহার রোধে আপনার জ্ঞাত তথ্য ''এক অবস্থানে সেবা '' / অভিযোগ কেন্দ্রে অবহিত করে সহযোগীতা করা আপনার নৈতিক দ্বায়িত্ব।
· ইদানিং একটি সংঘবদ্ধ অসাধু চক্র চালু লাইন হতে ট্রান্সফরমার/বৈদু্ৎতিক যন্ত্রপাতি/তার চুরির সাথে জড়িত। সুতরাং আপনার এলাকার চুরি রোধে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করুন।
· পার্শ্ব সংযোগ প্রদান বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। পার্শ্ব সংযোগ প্রদান হইতে বিরত থাকুন। পার্শ্ব সংযোগ প্রদান করিলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং নিম্নবর্ণিত হারে জরিমানা আদায় করা হয়।
বাড়ী প্রতিটির জন্য | ২৫০.০০ টাকা |
বাণিজ্যিক প্রতিটির জন্য | ৫০০.০০ টাকা |
সেচ প্রতিটির জন্য | ১৫০০.০০ টাকা |
শিল্প প্রতিটির জন্য | ৩০০০.০০ টাকা |
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১
নবীনগর, পলাশবাড়ী, সাভার, ঢাকা ।
ফোন : ৭৭৯১৬১০
ফ্যাক্স : ৮৮০২-৭৭৯১৯৯০
ই-মেইল : dhakapbs1@yahoo.com
WEB : www.dhakapbs1.org.bd
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস